Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
এতো দেখি আলাদিনের চ্যারাগ
ডাউনলোড

কোন একদিন সাকাল বেলার ঘটনা। চা খাচ্ছিলাম ইউনিয়ন পরিষদের সামনের এক দোকানে, খাওয়ার এক পর্যায়ে পাশে বসা লোকটি ফোনে একজনকে অকথ্য ভাষায় খুব গালি দিচ্ছে................আর কত দিন ঘোরাবেন আমাকে? যাই হোকে লোকটি একটু ঠান্ডা হলে তার কাছে জানতে চাইলাম, কি ব্যাপার সমস্যটাকি? যানতে পারলাম তার সমম্যা একটা পর্চা নিয়ে। কোন এক দালাল কয়েক দিনের কথা বলে অনেক টাকা নিয়ে তাকে ঘুরাচ্ছে। তারপর আমি বললাম চাচা আপনারাত যাইগা চিনলেননা। তখন লোকটি বলছে তার মানে? তখন আমি বললাম এই পর্চার জন্য আপনাকে এত কষ্ট কেন করতে হবে? দালাল কেন ধরতে হবে? ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আসলেইত পারেন। তখন লোকটি বলছে তুমিও শুরুকরেছ দালালি? ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার কিভাবে পর্চা দেবে? ইউনিয়ন ডিজিটালা সেন্টারত দেয় জন্ম নিবন্ধন! তখন আমি বললাম ভাই আজকে ১০টা মিনিট সময় আপনার কাছ থেকে চেয়ে নিচ্ছি, একটু ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারটা ঘুরে যাবেন। অনেক দোষামদের পর তিনি রাজি হলেন যেতে। কথা আরম্ভ করতে না করতেই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, বললেন যা বলার একটু দ্রুত বলো, ব্যাংকে যেতে হবে বিদ্যুৎ বিল দিতে। তখন আমি বললাম ভাই বিলত আমাদের এখানেই দিতে পারবেন, সে বিষ্কয়কর ভাবে বলল, কি বল? যাইহোক তার বিলটা সর্বপ্রথম দিয়ে দিলাম। তারপর তাকে পর্চার বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম, তখন তিনি পর্চার অডারটাও দিলেন। তারপর স্বভাবিক ভাবেই বেশ কিছুক্ষণ গল্প-স্বপ্ল হল। তিনি যখন উঠবেন ঠিক তখনই তার মেয়ে ফোন দিল "আব্বু কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি করতে নিয়ে যেতে চেয়ে ছিলে সেটা মনে আছেত?" হ্যা আছে, তুমি রেডি হও আমি আসছি। ফোনের আওজটা একটু জোরালো ছিল সম্পর্ণ ঘটনাটা শুনতে আমার কোন অসুবিধা হলনা। আমি বললাম ভাই সবাই যদি শহরে কম্পিউটার শিক্ষতে যাই তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানটা কাকে নিয়ে চালাবো? তখন তিনি বললেন, এখানেকি কম্পিউটারও শেখানো হয়? আমি বললাম হ্যা হয়। তখন তিনি বললেন তাহলে আর বাইরে কেন ভর্তি করব, যাতায়াতে খরচ হবে, সময় নষ্ট হবে আর আমাকেও টেনশন করতে হবে। এটা যখন বাড়ির কাছে তখন এখানে ভর্তি করলে আমার আর দূচিন্তা করতে হবেনা, মেয়েকে অতটা কষ্ট করতে হবেনা। বলতে বলতেই ফোন করলেন মেয়েকে এখানে আশার জন্য। প্রায় আধা ঘন্টা পরে মেয়েটা আসল, ভর্তিও হল। তারপর ভর্তির শেষ পর্যায়ে মেয়েটা আমাকে বলছে ভাইয়া আপনার এখান থেকে কি রেজাল্ট পাওয়া যায়? ভর্তি ফরম পূরণ করা যায়? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন করল। যাইহোক শেষে যখন বিদায়ের পালা তখন চাচা বলছেন আজতো তোমার কাছ থেকে আনেক সমাধানই পেলাম, কিন্তু কালত আবার কষ্ট করে শহরে যেতে হবে পাসপোর্ট ফরম পূরন করতে, না জানি কি হয়রানির স্বিকার হতে হয়। তখান আমি বলছি চাচা আপিনি এখনে পাচপোর্টের আবেদনও করতে পারেন ভিসার আবেদনও করতে পারেন। তখন চাচা একটা হাসি দিয়ে বলছে আমি কি আলাদিনের চ্যারাগ পেলাম নাকি? যা বলছি তাই তুমি বলছ এখানে হয়! তারপর আগামী কাল আসবে বলে চলে গেলেন।